শেয়ালকাঁটা বিভিন্ন অসুখে ব্যবহার: শিয়ালকাঁটা গাছ দেখতে কেমন।
শেয়ালকাঁটা
শেয়ালকাঁটা এক ধরণের ছোট গুল্মজাতীয় গাছ। উচ্চতা ২ ফুট পর্যন্ত হয়ে থাকে।
দেখতে অনেকটা আফিং গাছের মত। পাতা ঢেউ খেলানো ও কিছুটা লম্বা ধরণের। পাতার কিনারা সামান্য কাটা এবং কাঁটায় ভরা থাকে।
চিত্র: শেয়ালকাঁটা বাংলাদেশের সর্বত্রই শেয়ালকাঁটা গাছ জন্মায়। তবে এ গাছের পক্ষে আদর্শ পরিবেশ হল বেলে এবং কাঁকুর মাটি।
বিভিন্ন অসুখে ব্যবহার:
কুষ্ঠরোগেঃ শেয়ালকাঁটা গাছের রস ৫ গ্রাম পরিমাণ নিয়ে তার সাথে সমপরিমাণ গরুর কাঁচা দুধ মিশিয়ে ব্যবহার করলে কুষ্ঠ সারে, তবে দীর্ঘদিন চিকিৎসা করা দরকার।
রক্ত আমাশয়েঃ
পাকা বীজের তেল রোগীর বয়স অনুপাতে ৩০ থেকে ৬০ ফোঁটা সকালে একবার এবং সন্ধ্যায় একবার করে খাওয়ালে রক্ত আমাশয় অবশ্যই ভাল হয়ে যাবে। আধুনিক এ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসকরা ও এ অভিমত দিয়েছেন। পাণ্ডু অর্থাৎ জণ্ডিস হলে:
গাছের মূল কাও চিরলে যে হলুদ রং-এর রস বের হয়, সেটা সকালে এক চামচ এবং বিকেলে একই পরিমাণ সাতদিন রোগীকে খাওয়ালে উপকার হবে। পাঁচড়া ও চুলকানি হলে শিয়ালকাঁটা বীজের তেল ১০ গ্রাম এবং ২০ গ্রাম খাঁটি সরিষার তেল মিশিয়ে সামান্য গরম করে গোসল করার পর মাখতে হবে।
তিন থেকে চার দিন ব্যবহার করলে নিশ্চিত আরোগ্য লাভ হয়।
Read More: ব্লগার এসইও (SEO) টিপস
ক্ষত রোগ হলে:
যে কোন ক্ষতে শিয়ালকাঁটা গাছের আঠা প্রয়োগ করলে দ্রুত সেরে যায়। এমনকি বিষাক্ত ঘা ৪ থেকে ৫ দিনের মধ্যে ভাল হয়।
গর্মী ঘায়ে:
এটি একটি দুরারোগ্য ব্যাধি। শেয়ালকাঁটার শিকড় অল্প পানি দিয়ে বেটে ঘায়ে প্রলেপ দিলে দ্রুত ঘা শুকিয়ে যায়। বোলতা বা ভীমরুল কামড়ালে শেয়ালকাঁটার মূর সামান্য পানির সাথে বেটে উক্ত পতঙ্গদ্বয়ের কামড়ানো জায়গায় প্রলেপ স্বরূপ ব্যবহার করলে যন্ত্রণা থাকে না এবং ফোলাও কমে যায়।
গণোরিয়াঃ শেয়ালকাঁটা গাছের রস এক চামচ এবং চন্দন গাছের রস সমপরিমাণে মিশিয়ে ঘায়ে লাগাতে হবে। তবে ঔষধ প্রয়োগ নিয়মিত একমাস ধরে করা দরকার।
আজকের আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url